বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বাড়ি ভাড়া এবং শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে কলাপাড়ায় শিক্ষকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ পটুয়াখালীর মাদক ডন আব্বাস ও সোহাগ ডিবির জালে বাউফলে নিখোঁজ রাসেলের তিনদিন পর ম/র/দে/হ উদ্ধার দিনে দুপুরে কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হ/ত্যা/র চেষ্টা বাউফলে এক প্রসূতির জরায়ুর ভিতরে সিজারিয়ান কাচি পাওয়ার অভিযোগ ‘শীগ্রই কলাপাড়ায় যুগ্ম জেলা জজ আদালত স্থাপন করতে হবে’ বিচারপতি জেবিএম হাসান কুয়াকাটায় ২দিন ব্যাপী শিক্ষক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত বরিশালে নারীপক্ষের আয়োজনে তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে জেলা প্রশাসকের শুভ আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা বাউফলে জেলেদের মাঝে (বিজিএফ) এর চাল বিতরণে অনিয়ম স্বল্পমূলে তৈরিকৃত ১৯২ জন জেলেদের মাঝে লাইফবয়া বিতরণ পটুয়াখালী র‍্যাব ক্যাম্পে,ঘুমন্ত অবস্থায়  র‍্যাব সদস্যর মৃ/ত্যু কলাপাড়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে ইউএনও’র মত বিনিময় বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ স্কুল শিক্ষকসহ আহত-৩ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫
বাজির ৮ হাজার টাকার জন্য খুন হন রুহুল

বাজির ৮ হাজার টাকার জন্য খুন হন রুহুল

Sharing is caring!

গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ‘ভারত বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি’ খেলা নিয়ে বাজি ধরে আট হাজার টাকার জন্য খুন হন বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জ এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত রুহুল আমিন। এ ঘটনার চারদিন পর হত্যারহস্য খুঁজে বের করেছে পুলিশ।

বুধবার (৬ নভেম্বর) বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়েছেন অভিযুক্ত সুমন।

আদালতে তার জবানবন্দি নথিভুক্ত করেছেন বিচারক মো. আনিছুর রহমান। জবানবন্দি শেষে সুমনকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সুমন বরিশাল নগরের বেলতলা ইসলামিয়া কলেজ সংলগ্ন বাবুল মিয়ার ভাড়াটিয়া মকবুল হাওলাদারের ছেলে।
সুমন তার জবানবন্দিতে জানায়, সে ও রুহুল আমিন পূর্ব পরিচিত। গত ৩ নভেম্বর ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি খেলা নিয়ে বাজি ধরেন তার দুইজন। খেলায় বাংলাদেশের পক্ষে সুমন ও ভারতে পক্ষে রুহুল আমিন ৮ হাজার টাকা বাজি ধরেন। খেলায় বাংলাদেশ জয়ী হলে রুহুলের কাছে বাজির আট হাজার টাকা দাবি করে সুমন। কিন্তু টাকা না দিয়ে চলে যায় রুহুল।

পর দিন ৪ নভেম্বর আমানতগঞ্জ কসাই বাড়ির পুল সংলগ্ন এলাকায় রুহুলকে পেয়ে ফের আট হাজার টাকা দাবি করে সুমন। এ সময় ওই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সুমনকে থাপ্পর দেয় রুহুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্গে থাকা ছুড়ি দিয়ে রুহুলকে আঘাত করে পালিয়ে যায় সে। বুধবার সুমন আদালতে এভাবেই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে হত্যার ঘটনায় ওই দিনই রুহুল আমিনের বাবা পলাশপুরের ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আলি মুন্সি বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, রুহুল আমিন ঢাকা ফিলিপস কোম্পানিতে চাকরি করতো। গত ২৮ অক্টোবর চাকরি ছেড়ে বরিশাল আসে। পরে বাজার রোডে প্রিয় ভান্ডারের সেল্সম্যান পদে চাকরি নেয়। সুমনের সঙ্গে রুহুল আমিনের পূর্ব থেকে টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ৪ নভেম্বর বিকেলে রুহুল আমিন ওই এলাকা থেকে ফেরার পথে সুমনকে পাওয়ায় তার কাছে পাওনা টাকা চায়। এতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুলকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সুমন পালিয়ে যায়। পরে রুহুলকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিমে) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মামলার পরপরই ৫ নভেম্বর সুমনকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD